May 17, 2024, 7:49 am

ঝিনাইদহে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু বেশির ভাগ ঢাকায় আক্রান্ত

আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে এই রোগের বিস্তার ঘটছে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত। ফলে ঝিনাইদহ আড়াই’শ বেডের জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ অবস্থায় জেলা জুড়ে ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছোটবড় সব বয়সী মানুষই ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ রোগী ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে ঝিনাইদহে আসছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালে ১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। তাদের ভাষ্য হাসপাতালের ফ্যান নষ্ট। স্টাফ ডাকলে পাওয়া যায় না। হাসপাতালে সবসময় প্যাথলজিস্ট না থাকায় দ্বিগুন টাকা খরচ করে বাইরে থেকে রিপোর্ট করাতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে ছেড়া মশারি দেয়া হলেও টাঙ্গানোর ব্যবস্থা নেই। ডেঙ্গু রোগী জেসমিন আরা জানান, আমি নিজ বাড়ি থেকে আক্রান্ত হয়েছি। তিনদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি কিন্তু মশারি টাঙ্গাতে পারছিনা। শৈলকূপা থেকে আসা ডেঙ্গু রোগী শিহাবের স্বজনরা অভিযোগ করেন, হাসপাতালের পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন ও ফ্যান নষ্ট। বিকাল বা রাতে প্যাথলজিস্ট না থাকায় দ্বিগুন টাকা খরচ করে বাহির থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। যা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পরছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে শৈলকূপায় ৩ জন, কালীগঞ্জে ৩ জন, হরিণাকুন্ডুতে ১জন, কোটচাঁদপুর ২জন ও মহেশপুরে ২জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই হিসেবে সারা জেলায় ২২ জন ডেঙ্গু রোগী রয়েছে। ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, গত সপ্তাহে এখানে ৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১১ জন রোগী বর্তি আছেন। হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে জেলার বিভিন্ন এলাকাতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, ডেঙ্গু লক্ষণে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। তাই সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আগে সবাই বলতো এডিস মশা দিনে দংশন করে। এটা ঠিক নয়। এই মশা এখন দিন-রাতে সব সময়ই দংশন করে। তাই বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি মশা যেন কামড়াতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। বাসার বারান্দায় রাখা গাছের টব, প্লস্টিকের ব্যাগ, টিনের কৌটা, ডাবেরখোসা, প্লাস্টিকের বোতল, গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ারে পানি জমে থাকতে দেয়া যাবে না। অন্তত সামনের দুইমাস সবাইকে সতর্ক থাকতে তিনি পরামর্শ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :